খেলাধুলা

‘রশিদ সেরাদের একজন, তবে তাকেও মারা যায়’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রশিদ খান। দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে শুরু করে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ পর্যন্ত; টানা ৪ ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান।

Advertisement

রোববার সুপার ফোরের ম্যাচেও অন্যতম হুমকি ছিলেন রশিদ। তবে এদিন আর আগের ৪ ম্যাচের মতো দাপুটে বোলিং করতে পারেননি রশিদ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাকে দারুণভাবে সামলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। অসাধারণ দুটি স্লগ সুইপে রশিদকে দুবার মাঠ ছাড়া করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রশিদ যেখানে ৯ ওভার বোলিং করে ৩ মেইডেনের সহায়তায় মাত্র ১৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছিলেন, সেখানে রোববারের ম্যাচে ১০ ওভারে নিতে পেরেছেন মাত্র ১টি উইকেট, খরচ করেছেন ৪৬ রান। রশিদকে দারুণভাবে সামাল দেয়ার কারণেই মূলত ডিফেন্ড করার মতো লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছন রশিদ বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হলেও তাকে না খেলতে না পারার কোন কারণ নেই। এমনকি রশিদকে সামাল দেয়ার জন্য বাড়তি কোন প্রস্তুতিও নেননি তিনি। নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে নেয়ার মাধ্যমে জয় করেছেন রশিদ জুজুর ভয়।

Advertisement

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি তার ভ্যারিয়েশনগুলোর ব্যাপারে খুব বেশি কাজ করিনি। আমরা চারদিনের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ খেলেছি। তাই এতোকিছু ভাবার সময়ও ছিল না। আমি বাড়তি কিছু চিন্তা না করেই খেলছিলাম। আমরা সবাই জানি যে রশিদ খান বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন বোলার। তার মানে এই না যে তাকে খেলা যাবে না। হয়ত আমরা তার বিপক্ষে যেমনটা চাচ্ছিলাম তেমনভাবে খেলতে পারিনি। ইমরুলের সাথে জুটিতে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে রশিদকে নিজেদের উইকেটটা দেবো না। তাই আমরা তার ডেলিভারিগুলো একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চোখ রেখে খেলছিলাম।’

এসএএস/আরআইপি