পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালতে পুরাটা সময় কাঁপছিলেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে বিমর্ষও দেখাচ্ছিল।
Advertisement
বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজের জন্য নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত বসে।
খালেদা জিয়ার বসার জন্য আদালত কক্ষে একটি চেয়ার সংরক্ষিত থাকলেও তিনি সেখানে বসতে পারেননি। এছাড়া তিনি উঠে দাঁড়াতেও পারছিলেন না।
কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হুইল চেয়ারে করে আদালত কক্ষে আনা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল গোলাপি রঙের শাড়ি। শাড়ির ওপর চাদর জড়ানো ছিল খালেদার গায়ে।
Advertisement
এরপর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারক আখতারুজ্জামান। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার শুনানি শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু ও তাপস কুমার পাল।
যদিও খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় সাংবাদিকদের আদালতে ঢুকতে দেয়া হলেও মোবাইল (মুঠোফোন) সঙ্গে নিতে দেয়া হয়নি।
পরে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে মামলার শুনানি শেষ হলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে শুনানির সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, আমি পা নাড়াতে পারি না। আমাকে কেন আদালতে হাজির করা হয়েছে? আমার মেডিকেল রিপোর্ট দেখেন, তাহলেই বুঝবেন আমি কতটা অসুস্থ।
Advertisement
খালেদা জিয়া বলেন, এসব আয়োজন করা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। অথচ একদিন আগে গেজেট করা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা জানে না। তারা আদালতে কেউ নেই। এখানে প্রসিকিউশনের ইচ্ছায় সব হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম