‘জিমি-চয়নরা’ বললেই সবাই বুঝে নিতেন এটা জাতীয় হকি দল। শনিবার মামুনুর রহমান চয়নের জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর এ জুটি থাকছে না লাল-সবুজ হকি দলে। এশিয়ান গেমসে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দেশের এ সময়ের সেরা পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ চয়ন।
Advertisement
আগের দিন বিকেলে চয়ন ঘোষণা দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেই তিনি তুলে রাখবেন জাতীয় দলের জার্সি। শনিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পর জাকার্তার গেরোলা বুং কার্নো হকি মাঠে তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ। দীর্ঘ দিনের সতীর্থ চয়নকে স্টিক উঁচিয়ে বিদায় জানান জাতীয় দলের অন্য সদস্যরা। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মামুনুর রহমান চয়নকে প্রদান করা শুভেচ্ছা স্মারক।
৩০ বছর বয়সী চয়নের এখনো যে পারফরম্যান্স তাতে অবসরের সময় কি হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সবাই বলবেন 'না'। তবে কেন এখনই চলে যাওয়া তার? চয়ন বলেছেন, পরিবারকে বিশেষ করে তার তিন বছরের ছেলেকে সময় দিতে ফর্ম থাকতেই আন্তর্জাতিক হকিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত।
দেশের হকির এ সময়ের দুই বড় মুখ-রাসেল মাহমুদ জিমি ও মামুনুর রহমান চয়ন। চয়ন রক্ষণের খেলোয়াড়, জিমি আক্রমণ ভাগের। দুই পজিশনের হলেও তাদের নামের জুটি ছিল দেশের হকির বড় বিজ্ঞাপনও। চয়নের অবসরের পর ভেঙে গেলো হকির ‘জিমি-চয়ন’ বিজ্ঞাপন।
Advertisement
আরআই/এমএমআর/জেআইএম