বাংলাদেশে এখন দুটি সরকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘একটা হচ্ছে সেন্ট্রাল সরকার, আরেকটা হচ্ছে স্থানীয় সরকার।’
Advertisement
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের কারণে এখন কোনো গ্রাম আর গ্রাম নয়। দু-চারটা বাদে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গ্রাম শহর থেকে ৩০-৩৫ মিনিটের দূরে নয়। তারপরও আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা পৌরসভার আদলে গঠন করার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট গ্রহণ করেছি। প্রত্যেক উপজেলার সেন্টারকে আমরা শহরে রূপান্তরের চেষ্টা করছি।’
বর্তমান সরকার বিদ্যুতায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না। গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হবে। আর গ্রামে বাস করার যে আনন্দ, যে পরিবেশ সেই অনুযায়ী আমরা উন্নত জীবন-যাপন করতে সক্ষম হব।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এখন আমার বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশে এখন দুটি সরকার। একটা হচ্ছে সেন্ট্রাল সরকার, আরেকটা হচ্ছে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে উন্নয়নের মূল কথাটা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারছে। জনগণকে এই উন্নয়নের ধারায় সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এর মধ্যে ভয় পাওয়া, কিংবা শঙ্কা করা কিংবা উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে, এটাই তো আমরা প্রত্যাশা করি, যদি না কেউ ইচ্ছা করে, প্ল্যান করে জনগণের সমস্যা সৃষ্টি করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কেউ কারাগারে বসে হোক, কারাগারের বাইরে হোক, কিংবা সাত আসমানের কাছাকাছি যাইয়া যদি দাবি করে, সংবিধান পরিবর্তন না করে...বা আপনাদের (বিএনপি জোট) ধমকে রাতারাতি সংবিধান পরিবর্তন করে দিলাম... এটা কী সম্ভব হবে। কাজেই এসব দাবি-দাওয়া একটা ফাটা বাঁশ কিংবা খালি পিতলের কলসির বাড়ির মতো।’
ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশন করার অগ্রগতি কতদূর- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সচিব কমিটি এই সিটি কর্পোরেশন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। নিকারে (প্রশাসনিক সংস্কার- সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) যাবে, নিকারে গেলেই সিটি কর্পোরেশন হবে।’
Advertisement
নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হলে তো ভোটে সুবিধা হয়। তবে ভোটের আগে হবে কি-না সেটা আমি জানি না।’
এ সময় এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমার রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার সচিব জাফর আহমেদ খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব এস এম গোলাম ফারুকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দফতর-সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। দফতর-সংস্থা প্রধানরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
আরএমএম/জেডএ/জেআইএম