দেশজুড়ে

দরদাম করে সময় কাটাচ্ছেন ব্যাপারীরা

গাজীপুর মহানগরীর পশুর হাটগুলোতে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু উঠলেও ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছেন না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ধীর গতিতে চলছে বেচাকেনা। সোমাবর থেকে পুরোদমে পশু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যাপারী ও স্থানীয় বিক্রেতারা।

Advertisement

সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পশুর হাট বসেছে ২২টি। তার মধ্যে দুটি স্থায়ী বাকিগুলো অস্থায়ী পশুর হাট। প্রতিটি হাটেই দেশীয় জাতের পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এসেছেন পাইকার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। উঠেছে ছাগল, মহিষ ও ভেড়াও। দামও বেশ সহনীয় বলে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে কাঙ্ক্ষিত লাভ না পেয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে বিক্রেতাদের মধ্যে।

রোববার দুপুরে গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর পশুর হাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। পাবনার গরু ব্যবসায়ী কাসেম মিয়া জানান, তিনি শনিবার ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। ওইদিন ভালো ক্রেতা পাননি। রোববার দুপুরের পর থেকে হাট জমে উঠেছে। এরই মধ্যে ৫টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। লাভ মোটামুটি হয়েছে। সোমবার থেকে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে এবং দামও আরও ভালো পাওয়া যাবে।

এছাড়াও নগরীর পূবাইলের মিরের বাজার, সালনা বাজার, গাজীপুরা, সাগর-সৈকত পাম্প সংলগ্ন ও নাওজোড় অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম।

Advertisement

নাওজোড় অস্থায়ী পশুর হাটের পাইকার এমরান আলী জানান, ক্রেতা থাকলেও দরদাম করে সময় কাটাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।

গরু কিনতে আসা নগরীর বাসন সড়ক এলাকার বাসিন্দা এমারাত হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশ সহনীয়। তবে গরুর আকার ও রং ভেদে দামের তারতম্য হচ্ছে।

নগপাড়া শাহআলমবাড়ির পশুর হাটে গরু কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, হাটে প্রচুর গরু কিন্তু ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছেন না। তারা বেশি দাম পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এখন ব্যাপারীরা এক লাখ টাকার গরুর দাম চাইছে তিনগুণ বেশি। এজন্য ক্রেতারা এক হাট থেকে আরেক হাট ঘুরে দরদাম করছেন।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর

Advertisement