আগামী ২২ আগস্ট পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ সামনে রেখে নানা অপতৎপরতা বেড়ে গেছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘অজ্ঞান পার্টি’ নামে পরিচিত প্রতারকচক্র। রাজধানীতে এই চক্রের হাতে পড়ে অনেকের সর্বস্ব খোয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে সার্বিক জননিরাপত্তার দিকটিকে প্রাধান্য দিয়ে সে অনুযায়ী পরিকল্প গ্রহণ করতে হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে এর কোনো বিকল্প নেই।
Advertisement
আশার কথা হচ্ছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ৫৭ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার ও শনিবার পরিচালিত অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮ জন জাল টাকা ব্যবসায়ী, ৬ জন মাদক কারবারী এবং ৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৬১ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা, ৭৫ লাখ টাকার জাল নোট এবং ছিনতাই করা ১২টি মেবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন অপতৎপরতা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সময়ে নগদ অর্থের লেনদেন বেড়ে যায়। এই সুযোগটিই নিতে চায় তারা। অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতার বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ানক। এদের খপ্পরে পড়ে চেতনানাশক ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। অনেকে আবার সর্বস্ব হারিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক সমস্যায় ভুগেছেন। অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতা নতুন নয়। আসন্ন ঈদ উৎসবে এদের অপতৎপরতা আরো বেড়ে গেছে।
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির একটি বিশাল চক্র রয়েছে। এরা মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও কিছুদিন পরেই আবার জামিনে বেরিয়ে এসে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। শুধু রাজধানীতে নয় দূরপাল্লার গাড়িতেও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতা অব্যাহত। এদের খপ্পর থেকে মানুষজনকে বাঁচাতে হলে পুলিশের কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়া এদের অপতৎপরতা রোধ করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি সামনে নিয়েই এগুতে হবে। যে কোনো মূল্যে সবরকম অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
Advertisement
এইচআর/এমএস