রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের প্রবেশমুখে আসতেই নজর কেড়েছে ‘কালো মানিক’। খানিক দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশালাকৃতির মহিষ। মহিষের মতই কুচকুচে কালো। লম্বা, উচ্চতাও একদম মহিষের মতো। কিন্তু কাছে যেতেই ঘোর কেটে যাবে। এ গরুটি এবারে কোরবানির বাজারে তুলেছেন কুষ্টিয়ার খামারি দুলাল ব্যাপারী।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুটি গত বছর দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে কিনেছিলেন কুষ্টিয়ার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের খামারি দুলাল মিয়া। ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে প্রায় ১১ মাস লালন পালন করেন তিনি। কেনার পরেই নাম দেয়া হয় কালো মানিক।
পূর্ব অভিজ্ঞতা আর ভালোবাসার পরশ পেয়ে ১১ মাসেই গরুটির দৈহিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আসে। গাবতলী হাটে আনার আগে ওজন মেশিনে পরিমাপ করা হলে এর ওজন নির্ধারণ হয় প্রায় ১২শ কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে গাবতলীতে।
খামারি দুলাল মিয়া কালো মানিক-এর দাম হাঁকিয়েছেন ২০ লাখ। এরই মধ্যে একাধিক ক্রেতা ১০ থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন বলে জানান তিনি। তবে বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ১৫ লাখের কাছাকাছি আসলেই কালো মানিককে বিক্রি করবেন বলে মত দেন এই খামারি।
Advertisement
দুলাল মিয়া বলেন, বিক্রির জন্যই এনেছি কালো মানিককে। গরুটির বয়স প্রায় চার বছর। এক বছর ধরে আমি লালন করছি। এবার বিক্রি না করলে খরচ বেড়ে যাবে। তাই সাধ্যের মধ্যে দর পেলে বিক্রি করে দেব।
তিনি বলেন, প্রায় ১২ বছর ধরে গরু পালন করছি। আগের বছরগুলোতে জিঞ্জিরাতে নিয়ে গরু বিক্রি করেছি। এবারই প্রথম গাবতলীতে এলাম। জানি না ভাগ্যে কি আছে। তবে ভারতের গরুর ওপরেই নির্ভর করে আমার মতো ছোট খামারিদের ভাগ্য।
এএসএস/এমআরএম/এমএস
Advertisement