আইন-আদালত

ক্ষতিপূরণের ২০ লাখ টাকা পেলেন জিহাদের বাবা

আদালতের আদেশ অনুযায়ী রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকার ‘চেক ও পে অর্ডার’ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন।

Advertisement

ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার এবং রেলওয়ে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু ১৪ আগস্ট আদালতে মামলার বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ ধার্য রয়েছে। এর মধ্যে আমি হলফনামা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারবো না।’

তবে জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী খাদিজার নামে উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। ওই একাউন্ডে গত ৬ তারিখ আমাকে চেক দিয়েছে তারা। এরপর গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় চেক জমা দিয়েছি। আগামীকাল সোমবার ব্যাংকে যাবো টাকা জমা হয়েছে কি-না দেখবো।’

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জানান, ‘আদালতের আদেশ মোতাবেক জিহাদের পরিবারকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিশু জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিট করেন।

পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে শিশু জিহাদের পরিবারকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

Advertisement

তবে এর বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) গত ০৫ আগস্ট খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম