দেশজুড়ে

শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অভিযোগে এএসআই ক্লোজড

নয়ারহাট জাতীয় বস্ত্র প্রকৗশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে আশুলিয়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে আশুলিয়া থানা পুলিশের এএসআই মামুন। এ ঘটনায় নিটারের বিএসসি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্র এবং লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই বিক্রয় ডটকমে একটি ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন নোমান। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ল্যাপটপটি কেনার কথা বলে নোমানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে ডেকে নিয়ে আসেন পাঁচ ব্যক্তি। একপর্যায়ে ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাওয়া ব্যক্তিরা নোমান এবং তার সঙ্গে থাকা সহপাঠী মাহমুদুল ইসলামকে শিবির-জঙ্গি-চোরসহ বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে মারধর করে ল্যাপটপটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় দুই শিক্ষার্থীর ডাকে আরও সহপাঠী এগিয়ে এসে ওই পাঁচ ছিনতাইকারীকে ঘিরে ফেলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছিনতাইকারীদের একজন নিজেকে আশুলিয়া থানা পুলিশের এএসআই মামুন পরিচয় দিয়ে একটি সাদা রঙয়ের মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আটকের চেষ্টা করলে এএসআই মামুন পরিচয়দানকারী নিজের কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ছিনতাই চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করেন।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল নোমান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার এএসই মামুনের বিরুদ্ধে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে ঘটনার পর থেকে পুলিশের এএসআই মামুনের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এএম/জেআইএম

Advertisement