কন্টেইনার জাহাজ থেকে দ্রুত কন্টেইনার উঠানো ও নামানোর জন্য ২৩৮ কোটি ৬১ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ কিনতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বুধবার নৌ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীনের কোম্পানি সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের (জেডপিএমসি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ এবং জেপিএমসির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ কিজং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন। ৪০ টন ধারণ ক্ষমতার চারটি ক্রেন আগামী এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করবে জেডপিএমসি।
Advertisement
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ছয়টি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ সংগ্রহের জন্য গত বছরের ১৫ অক্টোবরে ঢাকায় জেডপিএমসির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এ ছয়টি ক্রেন ক্রয়ে প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ক্রেনগুলোর মধ্যে তিনটি আগামী ১৯ আগস্ট বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। আরও এক মাসের মধ্যে আসবে বাকি তিনটি।
আগের ছয়টি এবং নতুন চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) সংযোজন করা হবে। এতে করে এক সঙ্গে পাঁচটি গিয়ারলেস জাহাজ থেকে এনসিটিতে কন্টেইনার উঠানো নামানো যাবে।
ঘণ্টায় গড়ে ২৫-৩২টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উপযোগী এ ক্রেন বন্দরে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এতে করে এনসিটি তথা চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তপক্ষ ২০০৫ সালে জাপানের মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের এ ধরনের চারটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ কিনেছিল। সেগুলো চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের কোন বন্দরে এ ধরনের কোনো ক্রেন নেই বলে নৌ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
Advertisement
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার জন্য শিপ-টু-শোর গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ ৫১টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ২০টি রাবার টায়ার গ্যান্টি ক্রেন (আরটিজি), ১০টি স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার (এসসি), একটি রেল মাউন্টেড ইয়ার্ড ক্রেন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, পাঁচটি কন্টেইনার মোবার ও চারটি খালি কন্টেইনার হ্যান্ডিলিং রিচ স্টেকার।’
আরএমএম/জেএইচ/এমএস