জাতীয়

বিমানের নন-শিডিউল ফ্রেইটারের অনিয়ম তদন্তে কমিটি

দেরিতে হলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নন-শিডিউল ফ্রেইটারের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি গঠন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারি করেছে।

তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে যুগ্ম-সচিব (সিভিল এভিয়েশন) জমেন্দ্রনাথ সরকারকে। কমিটিতে সিভিল এভিয়েশনের একজন এবং বিমানের একজন করে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিনিধি চেয়ে আজ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনে পাঠানো হয়েছে।

বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে কার্গো শাখায় নন-শিডিউল ফ্রেইটারের কাছ থেকে ইনবাউন্ড আউটবাউন্ড কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ৭৬ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠার পর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়। বিমানের হিসাব শাখার মতে, ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর এ হারে লুটপাট হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা কিভাবে বছরের পর বছর এ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং লুটপাটের আসল পরিমাণ কতো তার সঠিক চিত্র বের করতে কাজ করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

Advertisement

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিমানের রাজস্ব ক্ষতির সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হলে, সে যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা তদন্তে দেখা গেছে, নন-শিডিউল ফ্রেইটার সিল্ক ওয়ে ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং-ইউ৩ ৭২২৫ (২৪ নভেম্বর ২০১৭) এর মাধ্যমে বহনকৃত ১৬ হাজার ৬৮৪ কেজি কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবাদ দুই লাখ ৩৩ হাজার ৫২৯ টাকা (পেমেন্ট রিসিট নং- ১৫১৫৪৮), ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে সিল্ক ওয়ে ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং- ইউ৩ ৭২২৫ (১ ডিসেম্বর ২০১৭) এর মাধ্যমে বহনকৃত ১৮ হাজার ১০৭ কেজি কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবাদ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৫ টাকা (পেমেন্ট রিসিট নং- ১৫২৭৪৮) আদায় করেছে বিমান।

তবে গত ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত নন-শিডিউল ফ্রেইটারে বহন করা ইনবাউন্ড ৫ কোটি ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭০ কেজি এবং আউটবাউন্ড ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৮ কেজি মালামালের হ্যান্ডলিং করে এসব কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ বিমানের আয় হওয়ার কথা ছিল ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৮ ডলার (প্রায় ৭৬ কোটি টাকা) যা আদায় করা হয়নি।

আরএম/জেএইচ/এমএস

Advertisement