তাৎক্ষণিক চারটি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তা হলো- ঢাকার সব স্কুলের সামনে স্পিডব্রেকার স্থাপন, সব স্কুলের সামনে প্ল্যাকার্ডধারী বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন, শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণ এবং ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাস প্রদান।
Advertisement
বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিমের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক এই চারটি নির্দেশ দেন।
মিমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির, ভাই-বোন, মা এবং আবদুল করিমের মা মহিমা বেগম, বোন ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রিন্সিপাল নূর নাহার ইয়াসমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তাদের সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নূর নাহার ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীকে জানান, নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা তার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে আসেন। তাদের যাতায়াতের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাস দাবি করেন।
Advertisement
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের নিচে চাপা পড়ে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া ও করিম প্রাণ হারায়। এরপর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর