বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পাঁচদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে’ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা সড়কে চলাচলরত গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করছেন। বাদ যাচ্ছে না পুলিশ, মন্ত্রী-এমপি কিংবা গণমাধ্যমকর্মীদের গাড়িও।
Advertisement
বন্ধ ঘোষণার পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে রাস্তায় নেমে আসেন। বৃষ্টিতে ভিজে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তাদের গাড়িচালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা যায়। লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন >> পুলিশের দুটি গাড়ি আটকে দিলো শিক্ষার্থীরা
এ পরিস্থিতিতে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে পুলিশের গাড়িতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
ডিএমপি’র একাধিক থানার ওসি ও বিভিন্ন বিভাগের উপ-কমিশনাররা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুর থানার নবনিযুক্ত ওসি দাদন ফকির জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিএমপি কমিশনার এর আগেও পুলিশ সদস্যদের নিজেদের চলাফেরা এবং যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। যে সব পুলিশ সদস্য গাড়ি ব্যবহার করেন কিংবা চালান তারা যেন গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স সঙ্গে রাখেন- এমন নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের ডিসির মাধ্যমে গতকালও এ নির্দেশনা এসেছে, আজও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে এ ধরনের নির্দেশনা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
Advertisement
আরও পড়ুন >> একেকজন যেন দক্ষ ‘ট্রাফিক পুলিশ’
গত রোববার ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পাঁচদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
আজও রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান নিয়েছেন ঢাকার শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট, আসাদগেটসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়। কেরানীগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বগুড়া, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অবরোধ ও অবস্থান।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় শিক্ষার্থীদের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। শুধু তেজগাঁও নয়, শাহবাগ, গুলশান, উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা গেছে একই চিত্র।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে পুলিশের তিনটি গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও মামলা নিতে বাধ্য করা হয়।
জেইউ/এমএআর/জেআইএম