আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৪

গাজায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তে বন্দুকধারীদের গুলিতে ইসরায়েলি এক সৈন্য মারা যাওয়ার পর ওই হামলা শুরু হয়েছে।

Advertisement

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহত এক সৈন্য মারা গেছেন। গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমান হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্য।

তেলআবিব বলছে, সীমান্তে বিক্ষোভের সময় গুলিতে চতুর্থ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। পরে গাজার ক্ষমতাসীন সংগঠন হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে তারা।

আরও পড়ুন : ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচিৎ বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করা’

Advertisement

হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহোম বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ওই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ এবং মিসরের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন তারা। তবে এই অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য জানায়নি তেলআবিব।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামাসের অন্তত ১৫টি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকায় আরো ২৫টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া বিমান হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষের পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই বিমান হামলা শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে অন্তত তিনটি প্রজেক্টাইল রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেলআবিব।

আরও পড়ুন : চোখ মেরে এবার ভাইরাল রাহুল

Advertisement

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি ভুখণ্ডে দুই শতাধিক রকেট ও মর্টার শেল হামলা হয়। এ হামলার জেরে ইসরায়েল ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে। এই হামলাকে ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর গাজায় ইসরায়েলি বৃহৎ হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে।

গত প্রায় ১৭ সপ্তাহ ধরে নিজ ভূখণ্ড ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। এসময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ও ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি।

এসআইএস/এমএস