বহুল আলোচিত ১৯৯৯ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির পরিচালক সালমা আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছে শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল।
Advertisement
রোববার সালমা আক্তার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক আকবর আলী শেখ সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৪ জুন একই আদালত আলোচিত এ মামলায় মার্ক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এমডি ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দেন। একই সঙ্গে এই তিন আসামি এবং কোম্পানিকে ৫০ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেছেন। বাকি দুই আসামি শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। বিচারকার্য চলাকালিন সময়ে পালাতক থাকায় ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারক আকবর আলী শেখ তাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
Advertisement
আসামিদের গ্রেফতার বা তাদের আত্মসমর্পণের দিন থেকে কারাদণ্ডের হিসাব শুরু হবে। এছাড়া আর্থিক জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আসামিদের আরও অতিরিক্ত ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে অভিযুক্ত ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেলেও ট্রাইব্যুনাল তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না। যে কারণে তাকেও জেল এবং জরিমানার রায় দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে রোববার ট্রাইব্যুনালে তার মারা যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছেন আইনজীবী। একইসঙ্গে সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এ সময় বিচারক বলেন, যেহেতু ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেছেন, তাই আল্লাহ্ তার বিচার করবেন।
আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিষ্টার ফারহানা রেজা, ব্যারিষ্টার রাবেয়া ভূইয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মেজবাউর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেন সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশের ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।
Advertisement
এমএএস/এমএমজে/এমএস