আপনি এবার হজে যাওয়ার জন্য বেসরকারি এজেন্সির কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। আত্মীয়স্বজন সবাইকে জানিয়ে দোয়া চেয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, যে এজেন্সিতে টাকা জমা দিয়েছেন তারা ই-হজ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার আবেদনটি জমা দিয়েছেন কি না? হজ যত ঘনিয়ে আসছে আবেদনপত্র জমা হয়েছে কি না তা জানা জরুরি হয়ে পড়েছে।
Advertisement
আর মাত্র দুদিন পর থেকেই হজ ফ্লাইট শুরু হবে। অথচ সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এখনও ২৫ হাজারেরও বেশি হজযাত্রীর আবেদনই জমা্ হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রত্যেক হজ যাত্রীর এখন উচিত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে নাম ও পাসপোর্ট নম্বর লিখে সার্চ দিয়ে ই-হজ পদ্ধতিতে তার আবেদনপত্রটি জমা দেয়া হয়েছে কি না তা জানা। এজেন্সি আবেদনপত্র জমা দিলে তার ভিসা হয়েছে কি না কিংবা আবেদনপত্রটি কী অবস্থায় আছে তা এই ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাবেন।
Advertisement
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই সরকারি হজযাত্রীদের প্রায় সবার ভিসা হয়ে গেছে। কিন্তু বেসরকারি হজযাত্রীদের ৯৫ হাজার জনের আবেদন জমা পড়েছে।
জানা গেছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ মোনাজ্জেম (এজেন্সির গাইড) নিয়োগ দেয়ার পরপরই সৌদি ই হজ পদ্ধতিতে আবেদনপত্র জমা দেয়া যায়। কিন্তু ভিসা পেতে হলে বাড়িভাড়া ও আহারের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলো কেন জমা দিচ্ছে না, তাদের উদ্দেশ্য কি তা অস্পষ্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরবে বিশ্বের সব দেশের হজযাত্রীদের বাড়িভাড়া যখন শেষ হয়, তখন বাংলাদেশের বেশকিছু এজেন্সি সস্তায় বাড়ি খোঁজায় ব্যস্ত থাকে। এ সময় সৌদি আরবের বাড়ির মালিকরা বাড়িভাড়া না হওয়ার আশঙ্কায় কম দামে বাড়িভাড়া দেয়।
তিনি জানান, ওই ধরনের হজ এজেন্সি এখনও সৌদিআরবে অবস্থান করছে। তাই হজযাত্রীকে পাসপোর্ট ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে আবেদনপত্র করা না হয়ে থাকলেও এজেন্রসি সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
Advertisement
এমইউ/জেডএ/জেআইএম