স্ত্রী সুমনা হক সুমির অসুস্থতায় মাশরাফির ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজ খেলা নিয়ে সংশয় ছিল যথেষ্ট। এখনো সে সংশয়ের কালো মেঘ কাটেনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে টাইগার ক্যাপ্টেনের ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া এখনো অনিশ্চিত। তবে এ ব্যাপারে মাশরাফি নিজে এবং বিসিবি থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে 'হ্যাঁ' কিংবা 'না' বলা হয়নি। বলা হয়নি-মাশরাফি যাবেন না বা তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।
Advertisement
এমন কথা মাশরাফি নিজে যেমন মুখ ফুটে বলেননি। আবার যাবেন, এমনটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মাশরাফি নিজে এ সম্পর্কে মিডিয়ার কাছে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ সকালে এ বিষয়ে জাগো নিউজের সাথে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। প্রধান নির্বাচকের কন্ঠে খানিক আশার বাণী। জাগো নিউজের সাথে ৭২ ঘন্টা আগের কথোপকোথনে তাকে অনেকটাই নৈরাশ্যবাদি মনে হয়েছিল। কারণ সেদিনই তিনি মাশরাফির সাথে কথা বলে তার স্ত্রীর প্রকৃত অবস্থা জেনেছিলেন।
তবে আজ সকালে নান্নুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মাশরাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যেতেও পারেন। নড়াইল এক্সপ্রেসের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। প্রধান নির্বাচক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে এবং স্ত্রীর সুমীর শরীরে কোন নতুন জটিলতা দেখা না দিলে মাশরাফি হয়তো ওয়ানডে সিরিজে থাকবেন।
নান্নু আরও জানান, মাশরাফির স্ত্রী অ্যাপেলো হাসপাতাল থেকে তার মিরপুরের বাসায় ফিরে এসেছেন। তার রক্তে ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরের কারণে যে ইনজেকশন পুশ করা হচ্ছে, সেটা বাসায়ই দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঐ ইনজেকশন চলবে। এর মধ্যে কোন সমস্যা দেখা না দিলে হয়তো ইনজেকশন শেষ হবার পরও আরও একদিন দেখবেন মাশরাফি। যদি সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে তার ১৬ জুলাই যাবার সম্ভাবনা আছে ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, মাশরাফির স্ত্রী সুমি প্রায় দুই সপ্তাহ প্রচন্ড জ্বরে ভুগেছেন। ব্লাড টেস্টে জ্বরের কারণও বেড়িয়ে এসেছে। রক্তে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়েছে। সেই ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ তথা জ্বর নিবারণে ১০টি ইনজেকশন পুশ করার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে রেখে সেই ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে।
মাশরাফির ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, গতকাল বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছেন তার স্ত্রী। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাকি ইনজেকশন বাসায়ই দেয়া হবে। ইনজেকশন দেয়া শেষে মাশরাফি হয়তো আরও এক দুই দিন স্ত্রীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি ভালো থাকে এবং চিকিৎসকরা অভয় বানী শোনান, তাহলেই কেবল মাশরাফি ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেন। অন্যথায় নয়।
সেক্ষেত্রে ১৬ জুলাই মধ্যরাত কিংবা ১৭ জুলাই প্রথম প্রহরে বিমানে চেপে বসবেন মাশরাফি। যদি এভাবেও যেতে পারেন, তাহলে তার পুরো ওয়ানডে সিরিজ খেলা সম্ভব। কারণ জ্যামাইকায় প্রথম ওয়ানডে ২২ জুলাই।
এআরবি/এমএমআর/আরআইপি
Advertisement