বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আনা রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের রায় আজ।এর আগে গত ১ আগস্ট রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৫ আগস্ট বুধবার দিন ঠিক করেন। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রব এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।গ্যাটকো মামলার কার্যক্রম বিচারিক (নিম্ন) আদালতে চলবে কি-না এ বিষয়ে রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। তার আগে গত ১৭ জুন রুলের ওপর শুনানি শেষ হওয়ায় যে কোনো দিন রায় (সিএভি) দেয়া হবে। রায় ঘোষণার জন্য আজ তারিখ ধার্য করা হয়।আদালতে দু’দকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদককে ‘গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এ রুলের ওপর উভয়পক্ষের শুনানির পর বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল।’খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি আজ কার্যতালিকায় এসেছে। রায়ের জন্য ৫ অগাস্ট দিন রাখা হয়েছে।দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আনা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলা প্রশ্নে রুল জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয়। এর আগে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানির পর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বে-আইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয় এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়।দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে।২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্রগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।এফএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement