ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেলে যেকোন দলের প্রধান চিন্তার কারণ থাকে ক্যারিবীয়দের ঐতিহ্যবাহী পেস আক্রমণ। ২০১৪ সালে সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশও কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, জেরোমে টেলরদের পেসেই নাকাল হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজেও টাইগারদের ভুগিয়েছেন ড্যারেন স্যামি ও কেমার রোচ।
Advertisement
বুধবার ৪ বছরের বিরতিতে আবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবেই সবার চিন্তায় চলে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফর্মে থাকা পেসারদের কিভাবে সামলাবে বাংলাদেশ দল। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলংকা সিরিজে আগুন ঝরিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ, মিগুয়েল কামিনসরা। দাঁতে দাঁত চেপে লড়েও শেষ রক্ষে হয়নি লংকানদের।
এমতাবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুতগতির উইকেটে ফর্মের তুঙ্গে থাকা পেসারদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি কেমন- তা নিয়েই যত চিন্তা বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে। ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে বেশ নির্ভারই দেখা গেল এই বিষয়ে। ক্যারিবীয় পেস আক্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশ দলের ভালো ধারণা রয়েছে বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে আসার আগে টিভিতে লংকানদের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের লড়াই দেখে স্বাগতিকদের পেস আক্রমণের ব্যাপারে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমরা টিভিতে শ্রীলংকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দেখেছি। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেটি। এটি আমাদের জন্য ভিন্ন আরেকটি সিরিজ এবং আমাদের সব মনোযোগ এখন এদিকেই। তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজটি ভালোভাবে দেখায় আমরা জানি তাদের বোলিং আক্রমণের শক্তিমত্তা কতটুকু। তাদের দলে বেশ কিছু ভালো বোলার আছে। এদের মোকাবেলা করতে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে।’
Advertisement
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে সপ্তাহ দেড়েক আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলে গিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে পৌঁছে প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে বলে জানান সাকিব। তাই ক্যারিবীয় বোলিং আক্রমণ সামলাতে খুব বেশি সমস্যা হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাস এক্ষেত্রে কাজে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘মাঝের বিরতিটা আমাদের জন্য ভালো ছিল। গত দুই-তিন মাসে আমরা খুব বেশি ক্রিকেট খেলিনি। তবে আমাদের প্রস্তুতির কোন ঘাটতি ছিল না। এছাড়া আমরা এখানেও (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) সপ্তাহখানেক ধরে অনুশীলন করছি। তাই এখানের আবহাওয়া, কন্ডিশন অনেকটাই আমাদের আয়ত্ত্বে চলে এসছে। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটাও ভাল গিয়েছে। আমার মতে ছেলেরা ক্যারিবীয়দের চ্যালেঞ্জ নিতে যথাযথ প্রস্তুত।’
এসময় ম্যাচের উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তার রেখা যায়নি সাকিবের চোখে-মুখে। সেখানের আবহাওয়ার সাথেও এরই মধ্যে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে উইকেট বা কন্ডিশন; কোনোটাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘আশা করি আবহাওয়ায় তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না। তবে উইকেট দেখে মনে হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাস থাকবে। আমার মতে ছেলেরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত যেহেতু এই উইকেট অনেক গতি এবং বাউন্স নিয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমরা যদি নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি সেটাই দলের জন্য যথেষ্ট হবে।’
Advertisement
এসএএস/জেআইএম