রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী (৫৪) নিহত হওয়ার চারদিন পর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় নিহতের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম এ মামলা করেন ।
Advertisement
নথিভুক্ত হত্যা মামলার নং ২৯। ধারা- ৩০২, ১০৯/৩৪ পেনাল কোড। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় দুলাল, বিপ্লব, রহিম, কামরুল নামে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মামলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করা হবে। অপরাধী যারাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার আলীর মোড় এলাকার পূর্বাঞ্চল-১ লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন ফরহাদ হোসেন। নামাজ শেষে বেড়িয়ে আসার পরই দুজন দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ফরহাদকে।
Advertisement
পরে স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার তদন্তকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাড্ডা এলাকার ডিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি, ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন চাঁদাবাজি ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বাড্ডায় আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন খুন হয়ে থাকতে পারেন।
দীর্ঘদিনের তার বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ ও বৈরি সম্পর্ক চলছিল অন্য গ্রুপের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদের একচ্ছত্র চাঁদাবাজি ও ডিশ ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ বন্ধেই ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহার করা হয়।
বাড্ডা জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে দুজন অংশ নেয়। দুজনই পেশাদার খুনি। পালিয়ে যাওয়ার সময় তল্লাশি চৌকিতেও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে তারা। সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা শনাক্ত করা গেছে তাদের।
Advertisement
জেইউ/জেএইচ/পিআর