চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন মাহমুদুল হক রনি নামে এক যুবক। তবে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকা পড়ায় এ দৃশ্য জনতা দেখে ফেলে। তারা ‘ধর্ষক’ রনিকে গাড়ি থেকে বের করে গণপিটুনি দেয়। তবে পালিয়ে যায় প্রাইভেটকার চালক।
Advertisement
শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এ ঘটনা ঘটে। পরে মোবাইলে ধারণ করা ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
গণপিটুনির পর রনিকে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা। এছাড়া তার ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো-গ ২৯৫৪১৪ নম্বর প্রাইভেটকারটি জব্দ করে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, রনির বয়স ৩২। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। ঢাকায় ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডের একটি বাড়িতে থাকেন তিনি। বর্তমানে ওসি (জি জি বিশ্বাস) স্যারের রুমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
Advertisement
শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রনির স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তবে সকাল থেকে পরিবারের কেউ থানায় আসেননি। পেশায় ব্যবসায়ী জানালেও কী ব্যবসায় করেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা থেকে জানা যায়, কয়েকজন পথচারী গাড়িটির গতিরোধ করে তরুণী, রনি ও প্রাইভেটকার চালককে বের করে আনেন। পরে ওই তরুণী জানান, তাকে রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরপর জনতা ওই তরুণ ও গাড়িচালককে গণপিটুনি দেয়।
তবে দুপুর আড়াইটা (রোববার) পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেনি ওই তরুণী।
এআর/জেইউ/আরএস/পিআর
Advertisement