অর্থনীতি

প্রবৃদ্ধি নিয়ে সিপিডির গভীর সংশয়

২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্বির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন নিয়ে গভীর সংসয় প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

Advertisement

সংস্থাটি বলছে, এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির জন্য ব্যক্তি খাতের স্থবির বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা, কর্ম সংস্থান বৃদ্ধির হার বাড়ানো, মানবসম্পদের গুনগত উন্নয়ন, সম্পদের বৈষম্য কমানো বড় সমস্যা। এই সব সমস্যা থেকে উত্তরণ করেই বাজেটে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের টার্গেট পূরণ করতে হবে, যা নিয়ে আমরা গভীর সংশয় প্রকাশ করছি।

শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সিপিডি আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য।

নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন : ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা

দেবপ্রিয় বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বর্তমান বিানয়োগের চেয়ে ১১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে সরকানি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এটি বাস্তবে করা অনেক কঠিন, এজন্য জিডিপির এই প্রবৃদ্ধি নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে।

চলতি (২০১৭-১৮) বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তার আগের বছরে (২০১৬-১৭) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

অর্থনীতির সামষ্টিক ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশে অর্থনীতিতে সম্পদ ও পুঁজিবাদিরা বেশী উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু সম্পদহারা ও পুঁজিহীন মানুষের খুব বেশি উপকার আসছে না। বাজেটে এদের নিয়ে খুব বেশি দিক নির্দেশনা নেই।

আরও পড়ুন : মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৬ শতাংশ

তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়নে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গতানুগতিক ধারায় চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র গবেষক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক তৌফিকুল আলম প্রমুখ।.

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আাবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ আকার বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের।

দেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি। ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর ১২তম বাজেট। গতকালের বাজেট পেশের মধ্য দিয়ে টানা দশবার বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এমএ/এনএফ/এমএস