জাতীয়

রোজাদারদের পিপাসা মেটাতে বিক্রি হচ্ছে মাছের বরফ!

‘মাল নিবেন কই, গাউছিয়া? অহন কয়টা বাজে। নিবেন কহন আর বেচবেন কহন।’ বলছিলেন বরফের পাইকারি বিক্রেতা মো. সেলিম ও ইব্রাহিম মিয়া। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিউমার্কেটে মাছের অাড়তের সামনে একটি মিনি ট্রাকের ওপর থেকে খেঁকিয়ে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে এভাবেই বলছিলেন তারা।

Advertisement

দেখা গেলো, তারা দুই ট্রাক ভর্তি বরফ নিয়ে এসেছেন। বিশাল বিশাল সাইজের বরফ দ্রুত টেনে লোহার শিক দিয়ে ভেঙে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছিলেন। বিশাল সাইজের প্রতিটি বরফের ক্যান (প্রতিটি ১২০ কেজি ওজন) ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই ভ্যানগাড়ি ও রিকশাযোগে বরফ তুলে আশপাশের এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

ইব্রাহিম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিউমার্কেটের এ স্থানে প্রতিদিন সকালে মাছের বাজার বসে। তারা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার একটি ফ্যাক্টরি থেকে বরফ এনে বিক্রি করেন। মাছে যেন পচন না ধরে সেজন্য বরফ ব্যবহার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাছ ব্যবসায়ী জানালেন, দেখতে ধবধবে সাদা হলেও বরফগুলো শুধু মাছে ব্যবহারের জন্যই উৎপাদন হয়। তার জানা মতে, এই বরফ উৎপাদনের পানি বিশুদ্ধ নয়। ওয়াসার (ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) অবৈধ সংযোগ থেকে নেয়া পানিতে এ বরফ জমানো হয়।

Advertisement

মো. সেলিম মিয়ার কাছে বরফের গুণগত মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, প্রতিবছরই তো বিক্রি করি, কই কেউ তো কখনও অভিযোগ করে নাই।

এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় তিন ক্যান বরফ ভ্যানযোগে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওসমান মিয়া। তিনি জানালেন, পূর্বপরিচিত হওয়ায় তারা বাকিতে বরফ নিয়ে যাচ্ছেন। বরফ ভেঙে ছোট ছোট টুকরা করে ৫, ১০, ১৫ ও ২০ টাকায় বিক্রি করবেন। রোজাদারদের অনেকেই ইফতারের সময় শরবতে মেশাতে বরফ কিনে নিয়ে যান।

এমইউ/জেডএ/পিআর

Advertisement