জাতীয়

‘যে খাবার নিজে খাবেন না, সেটা বিক্রি করবেন না’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের বিবেবকে সচেতন করেন। যে খাবার নিজে খাবেন না, নিজের পরিবারের সামনে পরিবেশন করতে পারবেন না, সে খাবার ক্রেতার কাছে বিক্রি করবেন না।’ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রমজান মাসের নিরাপদ খাদ্যের আলোকে ইফতার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক, ফল বিক্রেতাসহ স্ট্রিট ফুডের দোকানিদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রথমে আমরা সচেতন করব, কিন্তু পরবর্তী ধাপে যদি কাজ না হয় তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার অনেক ইফতার বিক্রেতারা অ্যাপ্রোন ও হ্যান্ড গ্লাভস পরেন। আগামীতে আরও সচেতন হবেন। তারা জানেন যে, মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করে না। পুরান ঢাকায় আমার জন্ম। ছোটকাল থেকে চকবাজারের ইফতার খেতাম। বর্তমানে অনেকেই ইফতার তৈরির পরিবেশন দেখে চকবাজারের ইফতার কেনেন না।’

Advertisement

‘বড় বাপের পোলায় খায়- এ খাবারের চাহিদাও কমে গেছে। এ পরিস্থিতি বুঝে ব্যবসায়ীরাও খাবারের মান বৃদ্ধি করছেন। নোংরা পরিবেশ এখন আর নেই। যত চাহিদা কমবে ব্যবসায়ীরা তত স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার তৈরি করবে। কয়েক বছর পর মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে স্ট্রিটফুডও খেতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাইরের খাবারে অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু আমাদের ঘরে তৈরি খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা- সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ঘরে যিনি খাবার তৈরি করেন তিনি ঠিকমতো হাত ধুয়েছেন কিনা- সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া আপনার সন্তানকে ক্ষতিকর ফাস্টফুড থেকে দূরে রাখতে হবে।’ সেমিনারে ‘রমজানে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার’ বিষয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন এফএও ফুড সেফটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ন্যাশনাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর শাহ্ মুনির হোসেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে ডায়েরিয়াসহ নানা রোগের সংক্রমণ হয় বলে উল্লেখ করেন। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, বারডেম হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অ্যান্ড হেড অব নিউট্রিশন শামসুন নাহার নাহিদ (মহুয়া), বিসেফ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ। এআর/এমএআর/আরআইপি