অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট এখন মহা-সংকটে। বল টেম্পারিং কান্ডে জড়িয়ে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আর সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এক বছরের নিষেধাজ্ঞায়। অসি ক্রিকেটে তাই নেতৃত্ব শুন্যতা দেখা দিয়েছে। আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছে তরুণ টিম পেইনকে। এই সিরিজে তার সাফল্যের উপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যত। ব্যর্থ হলে নিশ্চয়ই বিকল্প ভাবা হবে।
Advertisement
সেই বিকল্প ভাবনায় সবার সামনে চলে আসতে পারে অ্যারন ফিঞ্চের নাম। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলটিতে অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তিনি। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান আবার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কও। তাই ওয়ানডেতে তার নামটি আসাই স্বাভাবিক। তবে এখনই এসব নিয়ে ভাবছেন না ফিঞ্চ। ওয়ানডের নেতৃত্ব দেয়ার চিন্তাও নাকি মাথায় নেই তার।
ওয়ানডের অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছে আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়ে কখনও চিন্তাও করিনি। কেউই ভাবেনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট এমন অবস্থানে এসে দাঁড়াবে।’
তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজম্যান্ট কি চিন্তা করেন, সেটি সম্পর্কেও ধারণা নেই ফিঞ্চের। আপাতত দলের সিনিয়রদের দায়িত্ব নিতে হবে, শুধু এটুকুই মাথায় রাখছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
সামনের দিনগুলো নিয়ে ফিঞ্চ বলেন, ‘এটা তো একটা সাময়িক অবস্থা। আমি নিশ্চিত নই, তারা (নির্বাচকরা) বিশ্বকাপের আগে কি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছেন। এখন শুধু সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে যতটা সম্ভব দলে অবদান রেখে যেতে হবে, যাতে দলটা গড়ে উঠতে পারে। তরুণদের আন্তর্জাতিক আঙিনায় উন্নতির জন্য সাহায্য করতে হবে। দলের সব সিনিয়র খেলোয়াড়কেই কোনো না কোনো ভূমিকা রাখতে হবে।’
বল টেম্পারিং কান্ডের পর অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ড্যারেন লেহম্যানও। তার জায়গায় এসেছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ল্যাঙ্গারের প্রথম অ্যাসাইনম্যান্টই হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। এরপর হয়তো অধিনায়ক বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছবে অস্ট্রেলিয়া।
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement