জাতিসংঘের নতুন এক রিপোর্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে কালোতালিকাভূক্ত করা হয়েছে। সংঘাত চলাকালীন সময়ে ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতা চালানোর অভিযোগে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো এমন পদক্ষেপ নিল জাতিসংঘ। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।
Advertisement
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংস্থা এবং বাংলাদেশের তরফ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
মিয়ানমার থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারীই প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক বর্বরতা এবং যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেখানে অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়। বাধ্য হয়ে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেলে পালাতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা।
Advertisement
বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক বলে স্বীকার করা হয় না। তাদেরকে বাঙালী বলে ডাকা হয়।দেশটির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী রোহিঙ্গারা সে দেশের বাসিন্দা নন। তারা অবৈধ অভিবাসী। তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়েও অসম্মতি জানানো হয়।
মিয়ানমারসহ বেশ কিছু দেশের সরকার, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে কালোতালিকাভূক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং জাতীয় পুলিশ বাহিনীর ১৭ জন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার ৭ জন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং দক্ষিণ সুদানের ছয়জন, মালির পাঁচজন, সোমালিয়ার চারজন, সুদানের তিনজন, ইরান, ইরাক, মিয়ানমারের একজন এবং বোকো হারামকে কালোতালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
টিটিএন/আরআইপি
Advertisement