মাথার উপর বড় রানের বোঝা ছিল। ফলোঅনে পড়া ম্যাচটা বাঁচানোও কঠিন হয়ে পড়েছিল নর্থ জোনের জন্য। শেষপর্যন্ত স্বস্তির ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়লো দলটি। মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরি আর নাজমুল হাসান শান্তর ৮৯ রানে ভর করে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে দাপুটে ড্রতেই শেষ করেছে নর্থ জোন।
Advertisement
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচটিতে সেন্ট্রাল জোন প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৫২৯ রান। জবাবে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা নর্থ জোন ছিল ফলোঅনের শংকায়। ফলোঅন শেষপর্যন্ত এড়াতেও পারেনি তারা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে নাঈম ইসলামের দল।
প্রথম ইনিংসে নর্থ জোনের আশা হয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ১০১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামা জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান অবশ্য খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১১১ রান করে ইবাদত হোসেনের শিকার হন তিনি। মুশফিক দলীয় ৩০০ রানের মাথায় ফেরার পর আর রান যোগ করতে পারেনি নর্থ জোন। চোটের কারণে নাঈম ইসলাম তো ব্যাটিংই করতে পারেননি।
২২৯ রানে পিছিয়ে থাকা নর্থ জোনকে ফলোঅন করাতে ভুল করেনি সেন্ট্রাল জোন। শুরুতেই তারা বড়সড় ধাক্কাও দিয়েছিল চাপে থাকা দলটিকে। ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী মাত্র ১ রান করে মোহাম্মদ শরিফের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
Advertisement
তবে দ্বিতীয় উইকেটেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নর্থ জোন। নাজমুল হাসান শান্তর সঙ্গে ওপেনার মিজানুর রহমান গড়েন ১৫৪ রানের ম্যাচ বাঁচানো এক জুটি। সেঞ্চুরির খুব কাছে এসে ভুল করে বসেন শান্ত। ১৫২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৮৯ রান করে তিনি সাইফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি মিজানুর। ১৯১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তার ১০০ পূরণ হবার পর ড্র মেনে নিতে আর আপত্তি করেনি কোনো পক্ষ। আরিফুল হক অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে।
এমএমআর/পিআর
Advertisement