নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, ৩২ যাত্রী ও চার ক্রুসহ মোট ৩৬ বাংলাদেশি বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
Advertisement
জীবিতরা হলেন- শাহরিন আহমেদ, ইয়াকুব আলী, আলামুন নাহার অ্যানি, বেপারি এম শাহীন, রেজওয়ানুল হক, মেহেদী হাসান, ইমরানা কবির হাসি, মো. কবির হোসেন, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও সৈয়দা কামরুননাহার স্বর্ণা।
সবগুলো মরদেহ কাঠমান্ডু টিচিং হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নিহতরা হলেন- ফয়সাল আহমেদ, আলিফুজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম নুরুন্নাহার বিলকিস বানু, মোসাম্মৎ আক্তারা বেগম, নাজিয়া আফরিন, রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, মোহাম্মদ নজরুল, আখি মনি, মেহনাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামান্না প্রিয়ন্ময়ী (শিশু), মতিউর রহমান, মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশি রেজা, পিয়াস রয়, উম্মে সালমা, অনিরুদ্ধা জামান (শিশু), নুরুজ্জামান, রাইকুজ্জামান, আবিদ সুলতান (পাইলট), প্রিথুলা রশিদ (কো-পাইলট), খাজা হোসাইন (ক্রু), কে এইচ এম শাফি (ক্রু)।
তিনি বলেন, জীবিতদের কয়েকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে ইউএস-বাংলার বারিধারা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির নামের তালিকা প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলার জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম জানান, নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ বাংলাদেশি। এর মধ্যে নরভিক হাসপাতালে আলী ইয়াকুব, ওএম হাসপাতালে হক এমডি রেজুয়ানুল, কেটিএম-এমসিএইচ হাসপাতালে ইমরানা কবির হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রুবায়েত, আলমুন নাহার অ্যানি, সৈয়দা কামরুননাহার স্বর্ণা, মো. কবির হোসেন, বেপারি এম শাহীন চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরও জানান, পাইলট, ক্রুসহ বাংলাদেশি ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচসহ অন্যান্য ব্যয় বহন করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জারের প্রতিটি ফ্যামিলির সঙ্গে যুক্ত আছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্যাসেঞ্জারদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ৪৬ জনকে আমরা সকালে কাঠমান্ডু পাঠিয়েছি। আহতদের সেবা দেয়ার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে যতদিন থাকতে হয় থাকবে, আর তার যাবতীয় খরচ বহন করবে ইউএস-বাংলা।
উল্লেখ্য, সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহীবাহী বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
Advertisement
এআর/এমএআর/আরআইপি