মেনে নিতে পারছে না আহমেদ ফয়সালের পরিবার। রুদ্ধশাস অবস্থায় কাটছে পরিবারের সদস্যদের দিনরাত। তারা এখনো ভালো খবরের অপেক্ষায় আছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলতে চাচ্ছেন না তারা। ফয়সালের বড় মামা মো. কায়কোবাদ নেপালে গেছেন। উনি কী খবর দেন তার ওপর নির্ভর করে পরিবারের সদস্যরা কথা বলবেন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় হাজী আফছার উদ্দীন রোডের ৬৮নং বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ফয়সালের বন্ধুরা ও পরিবারের সদস্যরা ১০ তলা ভবনের নিচ তলায় জড়ো হচ্ছেন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন।
Advertisement
যুগান্তরের সাংবাদিক শিপন হাবিব দুপুরে বের হন ফয়সালের বাসা থেকে। লিফট থেকে নেমে ফয়সালের ছোট মামা মোহাম্মদ রাজিবকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি। ফয়সাল শিপন হাবিবের বন্ধু বলে জানা গেছে।
বাসায় যারা আসছেন তাদেরকেও বিমর্ষ অবস্থায় একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন নেপালের খবরের।
ফয়সালের ছোট মামা মোহাম্মদ রাজিব জাগো নিউজকে বলেন, আমার বড় ভাই কায়কোবাদ নেপালে গেছেন। পত্রপত্রিকা বা গণমাধ্যম যা প্রকাশ করছে তা আমরা বিশ্বাস করছি না। এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা এখনো ভালো খবরের অপেক্ষায় আছি। এজন্য বাসায় কোনো সাংবাদিক অ্যালাউ করছি না।
ফয়সালের ছোটবেলার বন্ধু অভি জাগো নিউজকে বলেন, কাল অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পর ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখে জানতে পেরেছি। আপনারা যা বলছেন তা মানতেই পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ৯ মার্চ আমার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছে। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ফয়সালেল খুব পছন্দ। যেখানেই যাক আমাকে বলে যেত। কিন্তু এবার সে যে নেপালে গেছে আমাকে কিছু বলেনি।
ঢাকা-কাঠমাণ্ডু রুটে ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী’র স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ ফয়সাল ছিলেন। ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকা থেকেই এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বৈশাখী টিভির সিএনই সাইফুল ইসলাম।
Advertisement
এফএইচএস/এমবিআর/আরআইপি