খেলাধুলা

চার বছর পর ফিরেই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং রাজ্জাকের

দীর্ঘ চারটি বছর দলের বাইরে ছিলেন। আবদুর রাজ্জাকের ক্যারিয়ারটার শেষই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। সেই রাজ্জাকই চমক জাগিয়ে ফিরলেন টেস্ট দলে, যে ফরমেটে তার বড় কোনো সাফল্য নেই বললেই চলে। তবে বয়সে ভাটার টান ধরলেও বাঁহাতি এই স্পিনার যে ফুরিয়ে যাননি দেখিয়ে দিলেন পারফর্ম করেই, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করলেন তিনি।

Advertisement

ওয়ানডেতে একটা সময় দলে অপরিহার্য ছিলেন। তবে টেস্টে কখনই নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রাজ্জাক। ২০০৬ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও ২০১৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে মাত্র ১২টি টেস্ট খেলার সুযোগ পান রাজ্জাক। পারফরম্যান্সটাও ভালো ছিল না। ১২ টেস্টে মাত্র ২৩টি উইকেট নেন তিনি, যার মধ্যে একবারও ছিল না ৫ উইকেট।

রাজ্জাকের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ছিল ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। ওই টেস্টে ৯৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে আরও দুইবার ৩ উইকেট আছে রাজ্জাকের। তবে এর বেশি উইকেট নিতে পারেননি।

এবার ঢাকা টেস্টে প্রায় চার বছর পর সুযোগ পেয়েই ঝলক দেখালেন বাঁহাতি এই স্পিনার। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই শিকার রাজ্জাকের। শেষ পর্যন্ত এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ১৬-২-৬৩-৪। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটিই এখন রাজ্জাকের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

Advertisement

চার বছর পর রাজ্জাক একাদশে ফিরলেও প্রায় সাড়ে চার বছর পর আবারও টেস্ট উইকেট পেলেন তিনি। সর্বশেষ তিনি টেস্ট উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর, ঢাকার এই মাঠেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিউই ব্যাটসম্যান টেন্ট বোল্টকে এলবিডব্লিউ করেছিলেন সেদিন তিনি।

এরপর যদিও আর একটি মাত্র টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন রাজ্জাক। সেটা ২০১৪ সালের ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই টেস্টে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। উইকেট পাননি। রান দিয়েছিলেন ৬টি। ফিগারটা দাঁড়াচ্ছে ৪-১-৬-০। এরপর থেকেই সাদা পোশাকে আর দেখা যায়নি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্পিনারকে।

এমএমআর/পিআর

Advertisement