রাজনীতি

বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একতার রাজনীতি চালু করবো: হাসনাত

বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশে একতার রাজনীতি চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নতুন রাজনৈতিক দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পেতে যাওয়া হাসনাত আব্দুল্লাহ।

Advertisement

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এতদিনে ভূখণ্ডের অধিকার আদায় করতে পারিনি। বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকবে কিন্তু প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না।

তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত এদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হবে আমরা ততদিন লড়ে যাবো। এদেশে কামারের ছেলে মন্ত্রী হবে, কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, এখানে ভেদাভেদ থাকবে না, মতামত-দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।

Advertisement

আরও পড়ুনকোনো এলিট গোষ্ঠীর দাসত্ব আর বাংলার জনগণ মানবে না: আরিফ সোহেল আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন দলের কাছে যে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলনের পর আমরা সংসদ ভবনকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আপনারা দেখেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে বিডিয়ার বিদ্রোহ হিসেবে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আমাদের দাড়ি টুপিওয়ালা ভাইদের রাতের অন্ধকারে কীভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। কীভাবে তাদের থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে বাংলাদেশে দিনের ভোট রাতের করার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, ডামি ইলেকশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণভবনে কে যাবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে, ভারত থেকে নির্ধারিত হবে না। সংসদে কে যাবে, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। সংসদের মসনদে কারা বসবে সেটা নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিভাজনের রাজনীতি আমাদের মধ্যে জিইয়ে রাখা হয়েছে। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি। আমরা স্বাধীন পুলিশ, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও তরুণ প্রজন্মের একটা ইনস্টিটিউশন আমরা আসতে দেখিনি।

এনএস/কেএসআর

Advertisement