গণমাধ্যম

ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়ার কোনো অভিযোগই আসেনি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সংবাদপত্রগুলো ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না করলেও এ বিষয়ে অভিযোগ না পাওয়ায় সরকারের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক-কর্মচারী কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র উত্থাপনই করেননি। সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের পর মঙ্গলবার তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

Advertisement

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে সোমবার ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়। নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর তা বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে ডিএফপির (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর) আওতায় নজরদারি কমিটি আছে, সেখানে সংবাদপত্র কর্মচারী এবং সাংবাদিকদের প্রতিনিধি আছে। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না সেটা নজরদারি করে। ওই কমিটিতে গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সদস্য হিসেবে আছেন। তাদের নেতৃত্বে পুরো সংবাদপত্র জগতে নজরদারি চলে, পরিচালনা চলে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মনিটরিং কমিটিতে সরকারের প্রতিনিধি আছে। ওয়েজবোর্ড আংশিক বাস্তবায়ন হয়, এরপরেও সনদ পেয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কমিটির নজরে কেউ (বিষয়টি) না আনেন, কমিটির বাইরে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের নজরেও আনতে পারেন। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে আজ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক-কর্মচারী কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র উত্থাপনই করেননি। আমার অফিসাররা তো কাজ করবে অভিযোগের ওপরে।’ নবম ওয়েজবোর্ড নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করলে তা সরকার বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে বলেও জানান হাসানুল হক ইনু।

নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের জন্য ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর অংশীজনদের নিয়ে প্রথম বৈঠক হয় জানিয়ে জাসদ (একাংশ) সভাপতি ইনু বলেন, ‘সেই থেকে অব্যাহত সভা এবং প্রচেষ্টার ফসল এ নবম মজুরি বোর্ড। নবম মজুরি বোর্ড যাতে সাংবাদিকদের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে সেজন্য মালিকপক্ষের প্রতিনিধি নিয়েই বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছিল। খানিক সময় লাগলেও আমরা সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’

Advertisement

ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকে মজুরি বোর্ড রোয়েদাদের আওতায় আনতে সরকারের স্বদিচ্ছার কোনো অভাব নেই মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ইলেট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের পদসোপানের সমতা বিধান করে কোনো প্রস্তাব এখনও পাওয়া যায়নি, তবুও আমরা হাল ছাড়িনি। লক্ষ্য করলে দেখবেন ইলেট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের বিষয়টিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বোর্ড সুপারিশ প্রণয়ন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/ওআর/আইআই

Advertisement