ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের পেছনের গেটের বিপরীতে সাবেক প্রেমিক আলামিন হোসেনকে (২৫) ছুরিকাঘাতকারী ইডেন কলেজছাত্রী লাভলী ইয়াসমিন মিতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ।
Advertisement
এসময় শাহবাগ থানার দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরদিকে লাভলীর জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের পেছনের গেটের বিপরীতে আলামিন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে তরুণী লাভলী ইয়াসমিন মিতা। জানা যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। লাভলী ইয়াসমিন মিতা নিজেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী পরিচয় দিয়েছেন।
Advertisement
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বায়েজিদ সরদার জানান, মেয়েটি ছুরি মেরে পালিয়ে যেতে চাইলে আমরা তাকে আটকে রেখে পুলিশে দিয়েছি। এ সময় মেয়েটি ছেলেটিকে ছিনতাইকারী বলে দাবি করেছে বলেও জানান বায়েজিদ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, ছুরিসহ ওই তরুণীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন- দীর্ঘ দিন ধরে আলামিন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
আহত তরুণের বন্ধু মো. রাজু জানান, আলামিন চকবাজার ইসলামবাগ এলাকায় থাকেন। পেশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। মিতা নামের এক মেয়ের সঙ্গে আলামিনের প্রেম ছিলো। কিছু দিন যাবৎ তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে শাহবাগের ফুলার রোড উদয়ন স্কুলের সামনে মিতা তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে আলামিনের পিঠে আঘাত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাভলীর এক সহপাঠী জাগো নিউজকে জানান, ‘মিতা ভালো মেয়ে। ইডেনের বাংলা বিভাগের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই তা জানতে পারবেন। হয়ত কোনো কারণে প্রতারিত হয়ে সে এমনটা করেছে।’
Advertisement
জানা গেছে, লাভলী ইয়াসমিন মিতা ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। তার বাড়ি ঝিনাইদহে।
জেএ/এসএইচএস/আইআই