হাওরের ৬ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষক ও মৎস্যজীবীসহ ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবার ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং-দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা) কর্মসূচির আওতায় আরও তিন মাস ৩০ কেজি হারে চাল সহায়তা পাবেন।
Advertisement
আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ছয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে বরাদ্দপত্র দেয়া হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গত বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বোরো ফসল। হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। মাছ খেয়ে মারা গেছে হাঁসও।
এরপর ২৩ এপ্রিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩ মাস ১০ দিন অর্থাৎ ১০০ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথা জানান। ওই সময় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ভিজিএফের আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী। পরে খাদ্য সহায়তার সময় দুই দফায় তিন মাস করে বাড়িয়ে জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এখন আরও তিন মাস বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
Advertisement
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য ৩৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হবে।
বরাদ্দপত্র অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে এক লাখ ৬৮ হাজার পরিবার, সিলেটে ৫৫ হাজার, নেত্রকোনায় ৫৮ হাজার, কিশোরগঞ্জ ৬৫ হাজার, হবিগঞ্জে ২৯ হাজার ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার পরিবার এ সহায়তা পাবে।
এজন্য পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণের জন্য সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ১২০ টন, সিলেটে ৪ হাজার ৯৫০ টন, নেত্রকোনায় ৫ হাজার ২২০ টন, কিশোরগঞ্জে ৫ হাজার ৮৫০ টন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬১০ টন ও মৌলভীবাজারে ৪৫০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরএমএম/এআরএস/আরআইপি
Advertisement