দেশজুড়ে

রোববার ফের খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র অবরোধ

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে হত্যা ও পার্টি অফিসে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে রোববার আবারো খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ।

Advertisement

শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন শেষে আরও একদিন অবরোধ বাড়ায় সংগঠনটি। শনিবার বিকেলে ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ সেলের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অবরোধের কথা জানানো হয়।

অবরোধ চলাকালে সকাল ১০টার দিকে চেঙ্গী ব্রিজ ও খবংপুড়িয়া এলাকায় পুলিশ ও অবরোধ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পিকেটারদের ইট-পাটেকেল ও গুলির আঘাতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আবুল হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, পিকেটাররা পাহাড়ের ওপর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

Advertisement

অবরোধের কারণে আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যটকবাহী গাড়ির ওপর পিকেটাররা ঢিল ছুড়েছে।

এদিকে, দুপুরের দিকে পানছড়ির লতিবান এলাকায় পিকেটারদের লক্ষ্য করে জেএসএস (এমএন লারমা গ্রুপ) নেতাকর্মীরা ৩ রাউন্ড গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

পানছড়ি উপজেলা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমা অভিযোগ করে বলেন, জেএসএস (এমএন লারমা) টিটু চাকমার নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী অস্ত্র হাতে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, গুলি করার অভিযোগ অস্বীকার করে পানছড়ি উপজেলা জেএসএস (এমএন লারমা) সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ নিজেরাই নিজেদের ওপর গুলি চালিয়ে আমাদের দোষারোপ করছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানছড়ি থানা পুলিশের ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/পিআর