দেশজুড়ে

৪ নারীকে ধর্ষণ : আরও একজন গ্রেফতার

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জহিরুল ইসলাম হাওলাদার (২৬) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার বিষয়ে জবানবন্দিতে তথ্য দিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি মিজান মাতব্বর।

Advertisement

বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার সায়েদাবাদ বাসস্টেশন থেকে জহিরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে পিবিআই চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মিজান মাতব্বরের জবানবন্দিতে মাইদুল নামে এক যুবকের কথা এসেছিল। মাইদুলের সঙ্গে এক যুবক সেখানে গিয়েছিলেন এমন তথ্য আছে। ওই যুবকই গ্রেফতার হওয়া জহিরুল।

প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) প্রাপ্তি উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থান করা সন্তোষ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মাইদুলের সঙ্গে ঘটনার আগে-পরে একাধিকবার যোগাযোগ ছিল জহিরুলের। সেই সূত্রেই আমরা জহিরুলের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছি। গ্রেফতারের পর জহিরুলকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জহিরুল ঝালকাঠি জেলার সুতালরি থানার কৃঞ্চকাঠি গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে।

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা বোন।

এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়। ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। ওইদিনই মিজান মাতব্বর ও আবু সামা নামে দুজনকে গ্রেফতার করে তারা। গ্রেফতারের পর দুজন আদালতে জবানবন্দি দেন। ২৭ ডিসেম্বর হান্নান মেম্বার নামে আরেকজনকে আটক করা হয়। যাকে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলছে পিবিআই।

Advertisement

আরএআর/এমএস