জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইয়েমেনে যদি অতি দ্রুত মানবিক সহায়তা না পৌঁছায় তবে সেখানকার কয়েক লাখ শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এখনও ওই এলাকার বহু শিশু না খেয়ে খাদ্য সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
Advertisement
এরমধ্যেই সৌদি আরবের অবরোধের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। ফলে এসব শিশু না খেয়েই মৃত্যুমুখে পতিত হবে। শনিবার আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (হু), ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএফপির এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অতি দ্রুত মানবিক সহায়তা না পৌঁছালে ইয়েমেনের হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। এদের মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইয়েমের ২০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এদের মধ্যে ১০ লাখই শিশু। এদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৪ লাখ শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে।
Advertisement
গত শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ইয়েমেনের সঙ্গে আকাশ, সাগর এবং স্থলসীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে সৌদিজোট।
ইয়েমেনের হুতিপন্থী একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কিং খালেদ বিমানবন্দরের ওপর বিদ্রোহীরা একটি বুরকান এইচ-টু শ্রেণির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে ওই মানবন্দরের দূরত্ব সাড়ে আটশ কিলোমিটার।
অবরোধের কারণে ক্লোরিন ট্যাবলেটের চালান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে রেডক্রস। যেসব এলাকায় কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে এই ট্যাবলেটগুলো পানি শোধনের জন্যে পাঠানো হচ্ছিল। সেখানকার প্রায় ৯ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। সীমান্তে আটকে আছে ইনসুলিনসহ আরও কিছু জীবন রক্ষাকারী ওষুধ।
অপরদিকে, জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অবরোধের কারণে ৭ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষে পতিত হবে। আর এর একটা বড় অংশই শিশু। ইয়েমেনের উপর সৌদির অবরোধ আরোপের ঘটনাকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অবিলম্বে দেশটির ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/পিআর