খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।
উদ্বোধনের পর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধন দুই দেশের জনগণের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে। এ বন্ধন শুধু রেলের বন্ধন না। আমাদের এ বন্ধন যেন দুই দেশের জনগণের মাঝে বন্ধন সৃষ্টি করে সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের কাম্য।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি খুব আনন্দিত। সকলের সঙ্গে মিলে আমরা যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করলাম, তাতে আমাদের দুই দেশের জনগণ লাভবান হবে। দুই দেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের একটা স্বপ্ন পূরণ হলো।
Advertisement
আজ প্রথম দিন কলকাতার কয়েকজন যাত্রী ও রেল কর্মকর্তাকে নিয়েই যাওয়া-আসা করবে ট্রেনটি। ১৬ নভেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এ ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রায় ৫২ বছর পর খুলনা-কলকাতা রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাওয়ায় দুই দেশের যাত্রীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
একই অনুষ্ঠানে কলকাতা স্টেশনে আন্তর্জাতিক রেল টার্মিনাল, অভিবাসন ও কাস্টমস পরিসেবা এবং বাংলাদেশের ভৈরব ও তিতাস রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়। কলকাতা স্টেশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহাসহ ভারতীয় রেলের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্রে আরও জানায়, 'বন্ধন এক্সপ্রেস' ট্রেনটি ভারতীয়। আপাতত প্রতি বৃহস্পতিবার ট্রেনটি চলবে। ৮টি বগিতে আসন থাকবে ৪৫৬টি। এর মধ্যে এসি কেবিন ১৪৪টি ও এসি চেয়ার ৩১২টি। খুলনা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার।
রেলের বিভাগীয় ম্যানেজার (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার জানান, এসি কেবিনের টিকিটের মূল্য ১৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় টিকিটের মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৩১১ টাকা। এর সঙ্গে ১৮৯ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স যুক্ত হয়ে মোট ভাড়া হবে দুই হাজার টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ভাড়া ১০ ডলার বা ৮৭৪ টাকা, ১২৬ টাকা ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা। বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের কলকাতা আন্তর্জাতিক টার্মিনালে কাস্টমস ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।
Advertisement
এনএফ/পিআর