ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রাজাগাঁও ইউনিয়নে তফশিল বর্ণিত নালিশি জমিতে আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
সম্প্রতি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রফুল্ল কুমারের স্ত্রী রেবা রানী রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই বাড়ি নির্মাণ করছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলা রাজাগাঁও ইউনিয়নের আকলিমা বেগমের কাছে সাড়ে ২৩ শতক জমি নীলকান্ত বর্মন খরিদ করেন। নীলকান্ত বর্মন মারা যাওয়ায় ওই জমি তার সন্তান দীলিপ কুমার বর্মন ও ধীমান চন্দ্র বর্মন ভোগদখল করেন আসছেন।
পরবর্তীতে দীলিপ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাওয়ার পর ভাই ধীমান চন্দ্র ওই জমির সাড়ে ১১ শতকসহ আরও ২ শতক জমি ক্রয় মূলে নিজ স্ত্রী স্বরদিনী রানী ও তার নামে দলিল করে নেয়।
Advertisement
এ নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সাড়ে ২৩ শতক জমি পরিবারের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে এটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
গত ৬ অক্টোবর নালিশি জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে প্রফুল্ল কুমার বর্মন ও তার স্ত্রী রেবা রানী। এ সময় তারা নালিশি জমিতে আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করেন। পরে প্রমথ কুমার বর্মন ও জ্যোতিষ চন্দ্র রায় বাধা দিলে তারা সরে যায়।
ওই জমি জোরপূর্বক দখলের ঘটনায় প্রমথ কুমার বর্মন ও জ্যোতিষ চন্দ্র রুহিয়া থানায় প্রফুল্ল বর্মন ও তার স্ত্রী রেবা রানীর নামে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী প্রমথ কুমার বর্মন ও জ্যোতিষ চন্দ্র জানান, তফসিলকৃত নালিশি জমি নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রফুল্ল বর্মন ও তার স্ত্রী রেবা রানীর আদালতে মামলা চলছে। আদালত উভয় পক্ষকে বর্ণিত নালিশি জমিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তারা প্রভাব দেখিয়ে ওই জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন।
Advertisement
প্রফুল্ল বর্মন ও তার স্ত্রী রেবা রানী জানান, আদালতে ওই জমি নিয়ে মামলা চলছে সত্য। কিন্তু ক্রয়মূল্যে জমির মালিক আমরাই। তাই বাড়ি নির্মাণের জন্য কাজ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুহিয়া থানা পুলিশের এসআই মাহবুবুর রশীদ জানান, নালিশি জমিতে আদালতের নোটিশ অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যা উভয় পক্ষকে আমি নিজে গিয়ে অবগত করেছি।
ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, জমি দখলের চেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।
মো. রবিউল এহসান রিপন/এএম/আরআইপি