সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংক যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল পদ্মা সেতুর আকাশে তখন কালো মেঘ জমে অনিশ্চতায় রূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক নেতৃত্বে মশাল হাতে নেন, পদ্মা সেতুর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। পিলারের উপর স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে নানা প্রতিকূলতা এখন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকি স্প্যানগুলো বসতে শুরু করবে।
Advertisement
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-৩ এলাকায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, আনুষ্ঠানিকতা করছি না এখন, নেত্রী দেশে আসলে আনুষ্ঠানিকতা হবে। দুই পাড়ের মানুষ, নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তাসহ সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়ের। বর্তমানে পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৪৭.৫ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মেজর জেনারেল মাসুদ সাইদ, প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামসহ পদ্মা সেতুর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Advertisement
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপার স্ট্রাকচার পিলারের উপর স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর অবকাঠামো ঘুরে দেখেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বড় একটি সিবোটে করে স্প্যান বসানোর এলাকা ঘুড়ে দেখেন তিনি।
উল্লেখ্য, মোট ৪২টি পিলারের ওপর নির্মিত হবে পদ্মা সেতু। এর মধ্যে ৪০টি পিলার নির্মাণ করা হবে নদীর বুকে। দুই প্রান্তে দুটি পিলার নির্মাণ করা হবে নদী তীরে। একটি পিলার থেকে আরেকটির দুরত্ব ১৫০ মিটার। নদীর বুকে যে পিলারগুলো বসবে, তার প্রতিটির জন্য ছয়টি করে পাইলিং করতে হবে। পাইলিংয়ের গভীরতা হবে ৯৮ থেকে ১২২ মিটার। মোট ২৪০টি পাইলের মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণকাজ চলছে ১১৪টির। তবে ১০৮টির কাজ এখনও শুরু হয়নি।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/আইআই
Advertisement