রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ত্রাণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্পষ্ট নীতিমালা ও সমন্বয় থাকা জরুরি। না হলে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় দেখা দিতে পারে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিও জরুরি। ইতোমধ্যেই শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগব্যাধি। এসব রোগব্যাধি যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
Advertisement
ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারও ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। কী ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। অভিযোগ আছে ত্রাণ নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম চলছে। রোহিঙ্গা নয়-এমন লোকজনও দাঁড়াচ্ছে ত্রাণের লাইনে। এছাড়া যে কেউ রোহিঙ্গাদের নোমে ত্রাণ সংগ্রহ করছে। খোদ রাজধানীতে ট্রাকে মাইক বেঁধে ত্রাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব ত্রাণ আদৌ রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছাবে কিনা সেটি নিয়েও রয়েছে সংশয়। ত্রাণ নিয়ে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম বিশৃঙ্খলা না হয় সেটি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। ত্রাণ কার্যক্রম এককেন্দ্রিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে কোনো অপতৎপরতা চলতে না পারে দৃষ্টি দিতে হবে সেদিকেও।
আশ্রয় কেন্দ্রে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই দেখা দিয়েছে জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগব্যাধি। এসব রোগ সংক্রামক। দ্রুত স্যালাইনসহ জরুরি ভিত্তিতে এসব রোগের ওষুধ পাঠাতে হবে। এসব রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে নিতে হবে জরুরি পদক্ষেপ। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিও চালাতে হবে।
রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ জন্মসনদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ কার্ড সংগ্রহ করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে সব পক্ষকেই বিরত রাখতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, রোহিঙ্গা সমস্যা কোনো সাধারণ সমস্যা নয়। এর সাথে কূটনীতিসহ নানা বিষয় জড়িত। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। হিতে যেন বিপরীত না হয় লক্ষ রাখতে হবে সেদিকেও।
Advertisement
এইচআর/এমএস