রাজনীতি

সু চি বর্বর : রিজভী

‘মিয়ানমারের নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি বর্বর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, রাক্ষসী-দানবীরা যখন বিপদে পড়ে তখন চুপচাপ থাকে। কিন্তু যখন তাদের হাতে ক্ষমতা আসে তখন তারা নিজেদের রূপ বদলায়। আজ অং সান সু চির রূপ বদলাতে দেখছি, তিনি বর্বর।

Advertisement

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নারকীয় হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আক্ষেপের বিষয় শান্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য যিনি নোবেল পুরস্কার পেলেন, আজ তার নিরাপত্তাবাহিনী কী নির্মম নৃশংসতা চালাচ্ছে, শিশুকে ফাঁসি দিচ্ছে। নারী-শিশুর হাত কেটে, গলা কেটে উৎসব করছে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে। নিরীহ যুবকদের বাঁশের খাঁচার মধ্যে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। ক্ষুধার্ত, আহত, গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গারা নাফ নদীর তীরে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, সু চির জীবনী লেখকও এহেন কর্মকাণ্ডে বিস্মিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, সুচির বক্তব্য আমাকে হতবাক করেছে। তিনি (সু চি) ক্ষমতার লোভে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পকেটে ঢুকে গেছেন।

Advertisement

রিজভী বলেন, আমরা তাকে (সু চি) সাহসী নেতা হিসেবে জানতাম। তিনি গণতন্ত্রের জন্য নিজ দেশে লড়াই করেছেন। আর গণতন্ত্রের নমুনা তিনি দেখাচ্ছেন! শতাব্দীর পর শতাব্দী রোহিঙ্গারা যেখানে বাস করছেন, তাদের তিনি নির্যাতন করে দেশছাড়া করাচ্ছেন। তার সেনাবাহিনী বলছে ‘বাঙ্গলি উগ্রবাদীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির উদ্যোগের সমলোচনা করে রিজভী বলেন, খাদ্যমন্ত্রী মিয়ানমারে চাল আনতে গেছেন। তিনি প্রশ্ন করেন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম বা কম্বডিয়ায় কি চাল উদ্বৃত্ত নয়?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হল নিজেরা নিজ দেশের মানুষকে রক্তাক্ত, খুন, গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যা করবেন। কিন্তু কোনো শক্তিশালী দেশ যদি তাদের ওপর আঘাত করে, তাহলে তারা নতজানু থাকেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি কী করছেন? নিশ্চুপ বসে আছেন, কোনো উত্তর নেই। আজ তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য নেই। বরং কটূক্তি করছেন, ‘আমরা কি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব’।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি দেশের মানুষকে গুম-খুন করতে পারেন। কিন্তু বাইরের শত্রুরা আমাদের দেশ আক্রমণ করলে তাদের আপনি কিছুই বলতে পারেন না।

পেশাজীবী পরিষদের নেতা ডা. অধ্যাপক জেড এম জাহিদের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান, বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সৈয়দ আফজাল আমহমেদ ও অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।

এমএএস/এমএমজেড/এমএআর/এমএস