মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠেছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক। শনিবার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাফ ডজনেরও বেশি সংগঠন সড়কটিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
Advertisement
সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘ, জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, আলু বাজার বন্ধু সংঘ, ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগাষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও নির্যাতন চলছে। মূলত রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নামে এ হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা চলছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই নিহতের সংখ্যা সহস্র ছাড়িয়েছে।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত শত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতারিত করতে ‘পোড়ামাটির নীতি’ অনুসরণ করছে। কেন না রোহিঙ্গাদের সুপরিকল্পিতভাবে ‘বাঙালি’ হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে এবং নাগরিকত্ব আইন এমনভাবে করা হয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
Advertisement
দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা ও প্রাণ বাঁচানোর জন্য লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। পালিয়ে আসার সময়ও তাদের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে। নৌকাডুবিতেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি উদ্দেশ্যে তারা বলেন, অং সান সু চি নোবেলজয়ী -এটি লজ্জার বিষয়। সু চির হাতে নোবেল মানায় না। সু চির নোবেল কেড়ে নেয়া উচিত। তার নোবেল পাওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। নোবেল পাওয়ার পর তার চরিত্র সম্পূর্ণ উল্টে গেছে। ক্ষমতার লোভে সু চি সেনাবহিনীর নির্দেশ মত চলছে।
মানববন্ধন থেকে বক্তরা আরও বলেন, প্রায় সাত লাখ শরণার্থীর চাপ সহ্য করার মত সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তাছাড়া যে সকল এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে সেখান চুরি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছেন।
ফলে জরুরি ভিত্তিতে এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের উচিত মিয়ারমারের প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রেকে সম্পৃক্ত করে জোরালো প্রচেষ্টা চালানো। একই সঙ্গে জাতিসংঘ যাতে সংকট উত্তরণে নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় সে জন্যও চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
Advertisement
এমএএস/আরএস/এমএস