রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে দমন-পীড়ন চলছে তা অবসানে বিভিন্ন তরফ থেকে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির কথা বলছে বাংলাদেশও। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস রোহিঙ্গাদেরকে অন্তত স্বাধীন ভাবে ঘোরাফেরার অধিকার বা কাজের সুযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার দাবি তুলেছেন। খবর বিবিসির।
Advertisement
সীমান্তের অপর পাশে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে বুধবার সফরে আসার কথা রয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলুর।
একই ইস্যুতে মঙ্গলবার ঢাকায় সফর করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মাসুদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বিবিসিকে জানিয়েছেন, মিয়ানমার দীর্ঘসময় ধরে একলা চলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপকে তারা খুব বেশী গুরুত্ব দেয় না।
তিনি আরো বলেন, প্রচুর সম্পদ তারা পেয়েছে। তাদের যে সামরিক কর্তৃত্ব, সত্তর বছর ধরেই তারা বল প্রয়োগ করে দেশটাকে এক করে রেখেছে।
Advertisement
তবে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে মিয়ানমারকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রফেসর শাহীদুজ্জামান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্ক মিলে একটি সামরিক জোট করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই জোটের মাধ্যমে সরাসরি যদি মিয়ানমারকে হুঁশিয়ারি দেয়া যায় যে, পরিণতি অত্যন্ত শোচনীয় হবে এবং যদি তারা তা মেনে নেয় তাহলে সামরিক পদক্ষেপ অসম্ভব কিছু না। এই ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষাকে তারা মোটেই গুরুত্ব দেবে না বলেও উল্লেখ করেন প্রফেসর শাহীদুজ্জামান।
টিটিএন/আইআই
Advertisement