পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে যাওয়ায় অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির সামনে যানজট লেগে আছে। মিরপুর রোডে চলাচলকারী বড় বড় বাস ও প্রাইভেটকার যানজটে আটকে আছে এ কথা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।
Advertisement
কিন্তু শনিবার দুপুর আড়াইটায় সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়ে দেখা গেছে, ধানমন্ডি, কলাবাগান, গ্রিনরোড ও শাহবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্যানগাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি ও রিকশায় করে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সেখানে চামড়া নিয়ে হাজির হওয়ায় রীতিমতো যানজট লেগে আছে।
ঈদ উপলক্ষে পাড়া-মহল্লার যে সকল তরুণ সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনেছেন তারা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দরদাম করে চামড়া বিক্রি করছেন। মৌসুমী এসব চামড়া ব্যবসায়ী এখান থেকে চামড়া কিনে পুরনো ঢাকার পোস্তা কিংবা সরাসরি ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করবেন।
চামড়া ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দুপুর ১২টার পর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মাঝারি গরুর চামড়া ৭/৮শ’ ও বড় গরুর চামড়া সাড়ে ১১শ থেকে সাড়ে ১৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বিকেল ৩টা থেকে চামড়ার দাম আগের তুলনায় দুই থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। এ প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ ও বড় গরুর চামড়া ৯শ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
Advertisement
সরেজমিনে কেউ চামড়া বিক্রি করতে এসে দাম না পেয়ে মন খারাপ আবার কাউকে দাম পেয়ে খুশি হতে দেখা যায়। কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার অভিযোগ, দরদাম ঠিক হওয়ার পরও কেউ কেউ টাকা দেয়ার সময় কম দিচ্ছেন।
গ্রিন রোডের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী বেলাল বলেন, সরকার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৪০ থেকে টাকা নির্ধারণ করে দিলেও অধিকাংশ মানুষ না বুঝে না শুনেই চামড়ার ব্যবসায় নেমে পড়ে। যারা বুঝেশুনে চামড়া কেননে তারা ভালো দাম পান। কেউ বর্গফুটের হিসাব না কষেই বেশি দাম দিয়ে কিনে পরে হায় হুতাশ করে।
রাজধানীর কাকরাইলের রাজস্ব ভবনের গেটে ফলবিক্রি করেন কবির হোসেন। প্রতি ঈদে চামড়া কিনে বিক্রি করেন। এবারও ৭০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে নামেন। আজ তিনি ২৫টি গরু ও ১৪টি ছাগলের চামড়া কিনেছেন। গরুর চামড়া ৮শ টাকা থেকে ১১শ টাকা ও খাসির চামড়া ৪০ থেকে ৭০ টাকায় কিনেছেন।
কাঁটাবন এলাকায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানি সংখ্যায় কম হয়েছে। তবে এবার কিছু লাভের মুখ দেখবেন কারণ বুঝেশুনে চামড়া কিনেছেন।
Advertisement
এমইউ/বিএ/পিআর