বিনোদন

নায়করাজের অপেক্ষায় বিষাদে এফডিসি

এই খবর চাউর হয়ে গেছে সবখানে; মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে আনা হবে। রাত থেকেই ধারণ করা হচ্ছিল প্রিয় নায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের চলচ্চিত্রের মানুষ আজ ভিড় করবেন। তাই প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রেখেছিল।

Advertisement

সকাল ৯টায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এফডিসির সামনে পা রেখেই দেখা গেল নারী ও পুরুষ পুলিশের পাহারায় মূল ফটক। জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।

ভেতরে ঢুকেই বিষণ্নতায় পেয়ে বসলো মনে। এ যেন অন্য এক এফডিসি। শুটিং আর লাইট-ক্যামেরা নিয়ে হাক ঢাকে মেতে থাকা এফডিসি সুনসান নিরবতায় মুড়ানো। সবখানেই শোক আর বেদনাময় ছাপ। চলছে 'প্রিয়তম'কে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি। কিংবা বলা যেতে পারে, প্রিয় বরণের তোড়জোড়। সবই চুপচাপ, নিরবতায়। উৎসবমুখর মানুষগুলোর মুখ ফ্যাকাশে। কেউ বিষাদ নিয়ে বসে আছেন, কেউ ফুলের ঢালা সাজাচ্ছেন, কেউ নায়করাজের মরদেহ রাখার জায়গাটি পরিষ্কার করছেন। রাত থেকেই বৃষ্টি থাকায় পরিষ্কারই বলা চলে এফডিসিকে। তবুও জমে থাকা পানি সরিয়ে পরিপাটি করে রাখার চেষ্টা চলছে রাজ্জাকের প্রিয় বন্ধু জহির রায়হানের নামের ভবনটির আঙ্গিনাকে।

খানিক বিরতি দিয়ে ঢুকছে নানা রঙের গাড়ি। আসতে শুরু করেছেন চলচ্চিত্রের তারকারা, এফডিসির প্রশাসন ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতির নেতারা।

Advertisement

শিল্পী সমিতির ভেতর প্রবেশ করে দেখা গেল নিজের চেয়ারে বিষণ্ন মুখে বসে আছেন শিল্পীদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। নির্ঘুম চোখ-মুখ। জানালেন, সারা রাত তিনি এখানেই ছিলেন। এফডিসি থেকে নায়করাজকে শেষ বিদায়ে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে সেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।

পরিচালক সমিতিসহ অন্য সংগঠনগুলোর প্রাঙ্গণও আজ প্রাণহীন।

কথা রয়েছে, এফডিসিতে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে নায়করাজের প্রথম জানাজা। তারপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে রাজ্জাককে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপর বেলা ৩টায় গুলশান আজাদ মসজিদে আরেকদফা জানাজা শেষে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ্জাককে।

এলএ/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement