আন্তর্জাতিক

সেতু ভেঙে বন্যার পানিতে ভেসে গেলেন মা-মেয়ে

বন্যার পানিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশও ভেসে গেছে। ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক পরিবার রাস্তায় জায়গা নিয়েছে। অনাহারে, অর্ধাহারে, অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। কিন্তু তাই বলে এরকম মর্মান্তিক দৃশ্য কল্পনাই করা যায় না। সেতু ভেঙে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে মা-মেয়ে দু'জনেই।

Advertisement

পিলে চমকে দেয়ার মত ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। সেখানকার আরারিয়া জেলায় বন্যার পানির তোড়ে সেতুর একপাশের বিশাল গাছ উপড়ে পড়ে যায়। সেই গাছ সেতুর এক পাশ থেকে অপর পাশে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে অনেকেই ভিড় জমান।

মুহূর্তেই ভেঙে যায় সেতুর একাংশ। সেতুর নিচের দু'পাশও ততক্ষণে ভাঙতে শুরু করেছে।

দু'পাশে অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। সবারই আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে সেতু। যদি তাই হয়, তাহলে উভয় পাশে অপেক্ষায় থাকা লোকজনের আর পারাপারের উপায় থাকবে না।

Advertisement

বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারও হন কয়েকজন। এবার আসে সেই মা-মেয়ের পালা। তারা অপর প্রান্তে পৌঁছেও যান। কিন্তু বিধি বাম; শেষ রক্ষা হয় না। ভেঙে যায় সেতু। মুহূর্তেই ভেসে যান মা-মেয়ে। তাদের সঙ্গে আরেকজনও তলিয়ে যান।

কিছুদূর ভেসে যাওয়ার পর দেখা যায় তিনজনেরই মাথা। অন্য লোকটি ভেসে যেতে থাকলেও নিজের মেয়েখে উদ্ধারের চেষ্টা করেন তার মা। কিন্তু স্রোতের কারণে মেয়েকে নাগালের মধ্যে পাচ্ছিলেন না তিনি।

সেই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড হওয়ার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। তবে ওই তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।

এখন পর্যন্ত বিহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে একশ ১৯ জন। বিহারের ১৫ টি জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চম্পারন, মধেপুরা, সীতামারহি, কিষাণগঞ্জসহ একাধিক জেলায় নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গোটা রাজ্যে বন্যার জেরে বিপর্যস্ত ৯৩ লাখ মানুষ। এদিকে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে স্কুল, কলেজের পরীক্ষা।

Advertisement

নেপালের ভারী বর্ষণের কারণে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে। এখনও বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রমাগত আসছে মৃত্যুর খবর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী আরও এক সপ্তাহ দক্ষিণ বিহারে বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর এটাই, যে নেপাল ও উত্তরবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএ/পিআর