দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৯ বছর বয়সী শিশু মাহামুদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার দুপুরে তার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। মাহামুদা বর্তমানে হাসপাতালের সি-ব্লকের চর্ম ও যৌন বিভাগের ৩নং ওয়ার্ডের ৩২৭নং কক্ষের ১নং বেডে চিকিৎসাধীন। আগামীকাল থেকে মাহামুদার চিকিৎসা শুরু হবে।
মাহামুদার শরীরজুড়ে ঘা। অভাবের সংসারে ঠিকমতো তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না বাবা-মা। বর্তমানে মাহামুদার পায়ের আঙুলগুলো মিশে গেছে।
গত ১৫ জুলাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘পায়ের আঙুলগুলো মিশে গেছে মাহমুদার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় মাহামুদাকে নিয়ে। এর আগে ও পরে বেশ কিছু মিডিয়াও তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
Advertisement
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরেই দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ড. মওলা বক্স চৌধুরী মাহামুদাকে তার গ্রামের বাড়ি দেখতে যান এবং তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরামর্শ দেন।
সিভিল সার্জন ড.মওলা বক্স চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. উপল হাবিব এবং বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার একই মেডিকেলের আরেক চিকিৎসক ডা. শাহ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের (সুমন) সঙ্গে মাহমুদাকে যোগাযোগ করতে বলেন।
তাদের কথামতো শুক্রবার রাতেই মেয়েকে ট্রেনে করে ঢাকায় নিয়ে আসেন বাবা আব্দুর রহিম। শনিবার সকালে মাহামুদার মা-বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা (ডা. উপল হাবিব ও ডা. শাহ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ) ভর্তির ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।
এ সময় ডা. শাহ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে মাহামুদার চিকিৎসা শুরু হবে।
Advertisement
ডা. উপল হাবিব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, মাহামুদার চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া আমি নিজেও সর্বদা মাহমুদার খোঁজখবর রাখছি।
এদিকে মাহামুদার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সামাজিক সংগঠন অপারাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এইচ রহমান মিলু। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদার বাবা আব্দুর রহিম বলেন, সবাই সহযোগিতা করেছে বলেই আজ মেয়েটাকে নিয়ে ঢাকায় আসতে পেরেছি। সবাই দোয়া করবেন।
মাহামুদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবা আব্দুর রহিমের মোবাইল নম্বরে ০১৭৫১-৩০০১৭৮।
এমএএস/আরআইপি