দেশজুড়ে

প্রেমিকের বাড়িতে ৭ দিন ধরে অনশনে প্রবাসী প্রেমিকা

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক প্রবাসী নারী।

Advertisement

উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সরকারকান্দি গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই প্রবাসী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগার থানার রায়দক্ষিণ গ্রামের মো. আকাল হোসেনের মেয়ে নারগিস আক্তার (৩৬)।

তার স্বামী শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সরকারকান্দি গ্রামের মৃত. অনু সরকারের ছেলে প্রবাসী ছালামত সরকার (২৯)।

Advertisement

এ বিষয়ে কথা হয় নারগিস আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, বাবার সংসারের হাল ধরতে কাজের জন্য ২০০৮ সালে লেবাননে পাড়ি জমান তিনি। ওই সালেই একই উদ্দেশ্যে ছালামত লেবাননে যায়।

তখন ছালামতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় নারগিসের। প্রথম বন্ধুত্ব পরে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা বিয়ে করেন।

কিন্তু ২০১৬ সালের নভেম্বরে নারগিস ছুটিতে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে চলে আসেন। তখন ছালামত লেবানন। নারগিস বাংলাদেশে আসার পর থেকে তার কোনো খোঁজখবর নেননি ছালামত।

গত ৩০ জুন বাংলাদেশে আসেন ছালামত। দেশে আসার ঘটনা জানতে পেরে গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার ছালামত সরকারের বাড়ি এসে হাজির হন নারগিস।

Advertisement

নারগিস বলেন, সাতদিন হলো আমি আমার স্বামী ছালামত সরকারের বাড়িতে এসেছি। কিন্তু আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না ছালামত। আমি চাই আমাকে বাংলাদেশের আইনে বিয়ের রেজিস্ট্রি করিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হোক এবং লেবাননে যে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে সেই কাগজপত্র আমাকে দেয়া হোক।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হননি ছালামত সরকার।

এ ব্যাপারে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস সরকার বলেন, ছালামত খোঁজখবর না নেয়ায় মানিকগঞ্জ থেকে গত মঙ্গলবার এক প্রবাসী নারী শরীয়তপুরের সরকারকান্দি গ্রামে চলে এসেছে। আমি শুনেছি বিদেশে থাকতে তাদের নাকি বিয়ে হয়েছে এবং সাত বছর একসঙ্গে ছিলেন।

এ ঘটনা শুনে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ছেলের পরিবার এবং মেয়েকে ডেকেছি। আসলে দুই পক্ষের কথা শুনে একটি সমাধান দিতে চেষ্টা করব।

জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু লেবাননে নারগিস ও ছালামতের বিয়ে হয়েছে এবং সাত বছর একসঙ্গে ছিল, সেহেতু বাংলাদেশে আবার রেজিস্ট্রির কাজটা সম্পূর্ণ করে ছালামতের নারগিসকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়া উচিত।

মো. ছগির হোসেন/এএম/পিআর