ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করতে হলে যথোপযুক্ত শিক্ষার বিকল্প নেই। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদেরকে গড়ে তুলতে না পারলে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না।
Advertisement
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে শিশুদের মধ্যে যথোপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা, মানসিকতা ও মূল্যেবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে। দেশে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষতার সাথে শিশুদের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও ধর্মীয় মুল্যেবোধ শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্সের অডিটরিয়ামে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশব্যাপী কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যেবোধ জাগ্রত করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
Advertisement
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি গৌর গোপাল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সচিব রনজিত কুমার দাস ও প্রকল্প পরিচালক স্বপন কুমার বড়াল।
সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ২০০৩ সাল থেকে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ধারাবাহিকভাবে চালু রয়েছে। বর্তমানে ৬৪টি জেলার ৪৯০টি উপজেলার ৫ হাজার ৭শ’ ৫০টি মন্দিরের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ও ১৮হাজার ৭শ’৫০জন নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষর জ্ঞান দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে নিয়োজিত শিক্ষকদের শতকরা ৮০ ভাগই নারী। ফলে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন শিশুদের জন্ম নিবন্ধন ও শিশুদের ঝরে পড়ার হার হ্রাসসহ সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন ও এসডিজির বিভিন্ন লক্ষ্য পূরণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম ও উন্নত দেশে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে আজকের শিশুদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ম সচিব বলেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি একটি চলমান প্রকল্প । এর চতুর্থ পর্যায়ের মেয়াদ চলতি বছরের জুনে শেষ হলেও প্রকল্পটি অব্যাহত থাকবে। পঞ্চম পর্যায়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আরও বৃহৎ পরিসরে কাজের মাধ্যমে শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Advertisement
এমইউ/এআরএস/আরআইপি